Durga Pujo 2025

দুর্গা পূজা 

 

. আগমনীর সুর: সপ্তমী, রিসেপশনের আলো ঢাকের উন্মাদনা

সকালটা শুরু হয়েছিল এক অদ্ভুত প্রত্যাশা নিয়ে শারদীয় সপ্তমী ক্যালেন্ডারের পাতায় কেবল একটা তারিখ নয়, গোটা বছরের অপেক্ষার স্ফুলিঙ্গ মণ্ডপে পা রাখতেই টের পেলাম, বাতাসে যেন এক নতুন সুরঢোলের আওয়াজ সে আওয়াজ সাধারণ বাদ্যি-বাজনা নয়, যেন হৃদয়ের গভীরে জমে থাকা আনন্দের প্রথম বিস্ফোরণ সে ধ্বনি কানে আসতেই শরীরের কোণে কোণে একটা বিদ্যুতের শিহরণ খেলে যায় মনে হয়, মা এসে গেছেন, আর এই উৎসবের সূচনা হলো এই মুহূর্তেই

আমার ডিউটি ছিল রিসেপশনে বসা পূজার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, যেখানে প্রথম দর্শনেই অতিথিদের স্বাগত জানানো হয় কিন্তু রিসেপশনের কাজটা শুধু চেয়ার টেনে বসে থাকা নয়, এটা যেন উৎসবের স্পন্দনকে সরাসরি অনুভব করার সুযোগ একদিকে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, স্বেচ্ছাসেবকদের দৌড়ঝাঁপ, আর অন্যদিকে আমার চেয়ারে বসেই দেখছি মানুষের আসা-যাওয়া, তাদের চোখে আনন্দের ঝিলিক প্রতিটি মানুষের মুখে হাসি, হাতে নতুন শাড়ির ভাঁজএই দৃশ্য দেখতে দেখতে কাজ করার ক্লান্তি আসেই না

আলো ঝলমলে মণ্ডপের এককোণে আমার দৃষ্টি আটকে গেল মা দুর্গার অপরূপ রূপ! আগের দু'দিন মন্ডপ দেখে গেলেও সপ্তমী তিথিতে দেবীর সৌন্দর্য যেন বহুগুণ বেড়ে গেছে তিনি কেবল দেবী নন, যেন এই পাড়ারই স্নেহময়ী মা তাঁর দশ হাতে অস্ত্র, কিন্তু মুখে এক স্থির, শান্ত হাসি সেই হাসি যেন সমস্ত অসুর বিনাশের পরেও বিশ্বকে দেওয়া এক অভয় বার্তা তাঁর চোখ, আহা! সে চোখে যেন করুণা আর শক্তি একাকার আমি রিসেপশনের দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও বারবার চুরি করে তাঁর দিকে তাকাইসে এক অদ্ভুত মুগ্ধতা প্রতিমার দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছিল, কত  শিল্পী, কত মানুষের আবেগ মিশে আছে এই মাটির মূর্তিতে, যিনি এখন চিন্ময়ী

দুপুর নাগাদ ভিড় বাড়ল অঞ্জলি শেষে মানুষের ঢল নেমেছে ভোগের লাইনে তখন আমার ডাক পড়ল ভোগের দায়িত্বে আলমারি থেকে বের করে পরেছিলাম আমার সেই প্রিয় সবুজ শাড়িটি এই শাড়িটা যেন পূজার জন্যই তৈরি সবুজ রঙে একটা শান্তি আছে, একটা পবিত্রতা দ্রুত তৈরি হয়ে যখন ভোগের মাঠে ফিরলাম, তখন যেন এক অন্য আমি হাতে  চোখ দুটোতে সেবার তৃপ্তি রঞ্জনদা একটা সবুজ এপ্রোন দিলেন পরবার জন্য গরম ভোগ বিতরণ শুরু হলো খিচুড়ি, লাবড়া, পায়েস আর টমেটো খেজুরের চাটনিআর সেই ভোগের স্বর্গীয় গন্ধ

ভোগ বিতরণের কাজটা ছিল একেবারে মাটিতে নেমে মানুষের মাঝে মিশে যাওয়া একজন বৃদ্ধা যখন বললেন, “আহা, মা-জননী, তোমার হাতে ভোগ পেয়ে শান্তি পেলাম,” তখন মনে হলো, রিসেপশনে বসে থাকার থেকেও এই সেবার আনন্দ অনেক বেশি প্রতিটি পরিবেশনের সাথে যেন মায়ের আশীর্বাদ ছুঁয়ে যাচ্ছে ঘামে ভিজে সবুজ শাড়ির আঁচলটা গায়ে সেঁটে যাচ্ছে, কিন্তু ভেতরে ক্লান্তি নেই, আছে এক অপার তৃপ্তি এই দিনটি ছিল অপেক্ষা সেবার এক অপূর্ব মিশ্রণ

 

. উচ্ছ্বাসের শিখর: অষ্টমী, নাচ আর রাতের ডিউটি

অষ্টমী! এই দিনটার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে বাঙালি এদিন সকালে অঞ্জলির সময় মণ্ডপে পা রাখার জায়গাটুকুও ছিল না কিন্তু এতোক্ষণে মন্ডপে পৌছুলাম অঞ্জলি শেষ হয়ে গেছে সাথে মুষলধারে বৃষ্টি!  কিন্তু এদিনের সেরা আকর্ষণ ছিল দুপুরের পর

 

কে যেন বললো - "শুরু হচ্ছে আমাদের ঐতিহ্যবাহী অষ্টমীর ভোগের নাচ!" ব্যাস! সঙ্গে সঙ্গে যেন ম্যাজিক শুরু ঢাকের বাদ্যি তখন দ্বিগুণ, তিনগুণ উন্মাদনায় বাজতে শুরু করেছে এই নাচ কোনো প্রথাগত নৃত্য নয়, এটা হৃদয়ের বাঁধন ভাঙা উল্লাস প্রথমে শুরু করলেন কিছু তরুণ-তরুণী, তারপর ধীরে ধীরে বয়স্করাও যোগ দিলেন শাড়ির আঁচল কোমরে জড়িয়ে, শঙ্খ আর ঢাকের আওয়াজের শব্দে পা মেলাতে শুরু করলেন সকলে

আমি তখন দূর থেকে দেখছিলাম এক মাসিমা, যিনি গত বছর অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি, তিনিও আজ কোমরে হাত দিয়ে মাথা নেড়ে নেড়ে নাচছেন এই দৃশ্যটা যেন চোখে জল এনে দেয় আনন্দ যে কত সংক্রামক হতে পারে, তা শুধু এই ভোগের নাচের মণ্ডপেই দেখা যায় ঢাকের প্রতিটি বোলে যেন শত বছরের সংস্কৃতি আর বাঙালির প্রাণশক্তি কথা বলছিল

এরপর ভোগ বিতরণ শুরু হল স্কুলের মাঠে বৃষ্টির জন্য সেটা মন্দিরে বিতরণ করা সম্ভব হলো না বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে ভোগ বিতরণ করলাম আমরা সারাদিনের এমন উন্মাদনার পর শরীরেরও তো একটু বিরতি দরকার তাই বিকেল হতেই ডিউটি থেকে সামান্য ছুটি নিলাম উদ্দেশ্য ছিল একটু নিজেকে রিফ্রেশ করা সোজা চলে গেলাম দু নম্বর মার্কেটে মণ্ডপের খাবারের ভিড় এড়িয়ে একটু অন্যরকম স্বাদের খোঁজে মার্কেটের পাশে ছোট্ট একটা চায়ের দোকানে বসলাম হাতে গরম চায়ের ভাঁড় আর সঙ্গে প্রিয়জনের  আনা ফিস-ফ্রাই এই সামান্য বিরতি, এই দুনম্বর মার্কেটে কিছু খেয়ে নেওয়াএটাই ছিল আমার কাছে নবমী দিনের জন্য  শক্তি সঞ্চয়

শরীরে শক্তি ফিরতেই মনটা আবার টানতে শুরু করল সন্ধ্যে নামতেই ফিরে এলাম বাড়িতে রাত তখন গাঢ় হচ্ছে আমার শুরু হলো একটা পুজো সংখ্যার জন্য প্রবন্ধ লেখা যা বলছিলাম, রাতে মণ্ডপের রূপটাই যায় পাল্টে দিনের আলোর ব্যস্ততা নেই, আছে আলোর সজ্জায় এক মোহময়ী পরিবেশ রঙিন আলোর ছটায় মা দুর্গার প্রতিমা আরও রহস্যময়ী, আরও উজ্জ্বল

রাতের সময়টায় ভিড় যদিও বাড়ে, কিন্তু মানুষের আবেগটা গভীর হয় সারাদিন কাজ শেষে যারা এসেছেন, তাদের চোখে এক আলাদা শান্তি অনেকে এসে গল্প করেন, গত বছরের স্মৃতি রোমন্থন করেন মন্ডপে বসে  বয়োজ্যেষ্ঠরা যেন সেই রাতের নীরব সাক্ষী ঢাকের আওয়াজ তখন একটু মিইয়ে এসেছে, কিন্তু তার রেশ রয়ে গেছে চারপাশে এই রাতটা ছিল আলো, আড্ডা আর মায়ের নৈকট্যের এক অসামান্য  উৎসব

 

. শান্তির পরিক্রমা: নবমী, পথ হাঁটার ক্লান্তি আড্ডার মায়াজাল

নবমী তিথি, অর্থাৎ পূজার শেষ রাত সকালটা শুরু হলো এক নিস্তব্ধতা নিয়ে মনে হয়, মা দুর্গা যেন আরও একটু কাছে এসেছেন, আরও একটু সময় দিতে চাইছেন সন্তানদের আজ ডিউটির চাপ ছিল কারণ গতকাল বৃষ্টির জন্য অনেকেই ভোগ সেভাবে গ্রহণ  করতে পারেননি তাই আজ ভোগের একটু অংশ পাওয়ার জন্য উপস্থিত হয়েছেন স্কুলের মাঠে   

পূজা মানে তো শুধু মণ্ডপে বসে থাকা নয়, পূজা হলো গোটা পাড়ার উৎসব তাই বেরিয়ে পড়লাম হেঁটে হেঁটে পাড়ার পূজা পরিক্রমায় এটা কোনো গাড়ি বা বাইকে চড়ে মণ্ডপ দেখা নয়, এটা পাড়ার অলিগলিতে হেঁটে, প্রতিটি মণ্ডপের ছোট ছোট গল্প খুঁজে বের করা

আমার হাঁটা শুরু হলো আমাদের মণ্ডপের কাছাকাছি একটা  পূজা থেকে সেখানে দেখলাম থিমের কোনো আধিক্য নেই, আছে কেবল আন্তরিকতা তারপর ধীরে ধীরে হাঁটতে হাঁটতে গেলাম অপেক্ষাকৃত বড় মণ্ডপগুলোর দিকে প্রতিটি মণ্ডপের নিজস্ব একটা চরিত্র, নিজস্ব একটা গল্প কোথাও পরিবেশ সচেতনতার বার্তা, কোথাও শিল্পীর হাতের নিখুঁত কাজ

 

কিন্তু সবচেয়ে ভালো লাগছিল পথের দুধারের দৃশ্যগুলো রাস্তার মোড়ে জটলা পাকিয়ে থাকা মানুষ, নতুন পোশাকে সেজে ওঠা শিশুরা, আর আমিষ নিরামিষ খাবারের দোকানে লেগে থাকা ভিড় হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত পা দুটো যেন আর নড়তে চাইছিল না, কিন্তু মন বলছিলআরো হাঁটো, আরো দেখো

পথে কত চেনা মুখের সাথে দেখা হলো যারা হয়তো সারা বছর কাজের চাপে কথা বলার সময় পান না, তারাও আজ দাঁড়িয়ে পড়লেন চলল অনর্গল আড্ডা এই আড্ডার বিষয় কেবল পূজা নয়পুরোনো দিনের স্মৃতি, কিটির গল্প, আর আগামী দিনের স্বপ্ন এই সময়টায় মনে হলো, পুজো শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটা একটা সামাজিক মিলনক্ষেত্র, একটা বিশাল রিইউনিয়ন

 আকাশের রঙ তখন ঘন কালো দিগন্তের  আলোর রোসনায়ের সাথে গিয়ে মিশেছে হাঁটতে হাঁটতে পা দুটো যেন আর চলছে না, কিন্তু মনের ভেতরে এক আশ্চর্য শান্তি সমস্ত ক্লান্তি ছাপিয়ে একটা অনুভব কাজ করছিলআমি এই উৎসবের একজন অংশ, আমি এই সংস্কৃতির এক ক্ষুদ্র ধারক নবমীর রাতটা ছিল হাঁটার ক্লান্তি আর ভালোবাসার আড্ডার এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি

 

. বিদায়ের বিষাদ: দশমী, সিঁদুর খেলা বিসর্জন

তারপর এলো সেই চূড়ান্ত দিনদশমী সকাল থেকেই মণ্ডপে এক অদ্ভুত বিষাদের সুর ঢাকের আওয়াজে নেই সেই উন্মাদনা, আছে কেবল বিদায়ের করুণ সুর মণ্ডপে পা রাখতেই মনটা খারাপ হয়ে গেল আজ আর রিসেপশনে বসার কোনো তাড়া নেই, ভোগ বিতরণের সেই ব্যস্ততাও নেই আছে কেবল দেবীকে বিদায় জানানোর এক অন্তিম প্রস্তুতি

 

সকাল থেকেই শুরু হলো দেবীকে শেষবারের মতো বরণ করে নেওয়ার পালা কুমারী মেয়েদের, সধবা মহিলাদের ভিড় দেবীর সামনে দাঁড়িয়ে চোখ মুছছেন অনেকে সবার একটাই প্রার্থনা'মা গো, আবার এসো!' এই বিদায় যেন এক ঘরের মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর মতো বেদনাদায়ক

দুপুরের পর শুরু হলো সবচেয়ে রঙিন, অথচ বিষাদের সেই খেলাসিঁদুর খেলা বিবাহিতারা লাল শাড়ি পরে, হাসতে হাসতে দেবীর কপালে সিঁদুর ছোঁয়ালেন, তারপর শুরু হলো একে অপরের সাথে সেই সিন্দুর খেলা গালে, কপালে, চুলেচারদিকে তখন কেবল লাল রঙের ছড়াছড়ি হাসি, আনন্দ আর উল্লাসে ফেটে পড়ছে মণ্ডপ

আমিও ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে সেই আনন্দ উপভোগ করছিলাম সিঁদুর খেলার মধ্যে যে প্রাণশক্তি লুকিয়ে থাকে, তা আর অন্য কোনো উৎসবে দেখা যায় না সেখানে কোনো ভেদাভেদ নেই, আছে কেবল ভালোবাসার রং কিন্তু এই সিঁদুর খেলার উল্লাসের নিচেই চাপা থাকে একটা চাপা কান্না'মা চলে যাচ্ছেন' কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসির রেখা মুছে চোখে চিকচিক করে ওঠে একফোঁটা জল

সন্ধ্যা নামল মণ্ডপে তখন হাজারো মানুষের ভিড় দেবী দুর্গার বিসর্জন শুরু হলো সুসজ্জিত ট্রাকে করে দেবীকে সাড়াপাড়া পরিক্রমা করে নিয়ে আসা হয়েছে  নদীর ঘাটে ঢাকের বাদ্যি তখন বাজছে চূড়ান্ত তালে, কিন্তু সেই বাদ্যিতে আনন্দের চেয়ে বিসর্জনের সুরটাই বেশি 'জয় দুর্গা মাই কি জয়' ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত

ঘাটে যখন প্রতিমা আনা হলো, তখন ভিড় সামলানো দায় শেষবারের মতো মা'কে প্রণাম তারপর যখন প্রতিমা ধীরে ধীরে জলে ডুবতে শুরু করল, তখন চোখের সামনে যেন একটা যুগের সমাপ্তি হলো জল থেকে ভেসে ওঠা প্রতিমার চূড়ার দিকে তাকিয়ে মনের মধ্যে একটা শূন্যতা অনুভব করলাম যেন আমার জীবনের একটা অংশও জলের গভীরে তলিয়ে গেল

কিন্তু এই শূন্যতা ক্ষণস্থায়ী ঘাটে ফেরার পথে দেখলাম, মানুষ একে অপরের সাথে কোলাকুলি করছে "শুভ বিজয়া" বলে শুভেচ্ছা বিনিময় চলছে একে অপরের হাতে মিষ্টি তুলে দিচ্ছে বিসর্জনের পরেই যেন এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্যটা স্পষ্ট হয়মিলন দেবী চলে যান, কিন্তু তাঁর রেখে যাওয়া ভালোবাসার বন্ধনটা আরো দৃঢ় হয়

 

. বিজয়ার নির্যাস: এক বছরের অপেক্ষা

আমি হেঁটে ফিরছিলাম ভিড়ের মাঝে শরীর ক্লান্ত, কিন্তু মনটা শান্ত  শাড়ির কোণে তখনও লেগে আছে সিঁদুরের লালচে আভা, আর কানে বাজছে ঢোলের শেষ করুণ সুর রিসেপশনে বসা, ভোগ বিতরণ, নাচের উল্লাস, পূজা পরিক্রমার ক্লান্তি, আর সিঁদুর খেলার মিষ্টি-নোনতা স্বাদসবকিছু যেন এক লহমায় চোখের সামনে ভেসে উঠল

এই দুর্গাপূজা কেবল একটা উৎসব নয় এটা আমাদের বাঙালি জীবনের একটা বিস্তৃত অধ্যায়, একটা মহাজীবনবীমা এটা প্রতি বছর আমাদের শিখিয়ে যায়শক্তি আর শান্তি, সেবা আর আনন্দ, বিদায় আর মিলনএইসব অনুভূতি নিয়েই জীবন মা দুর্গা চলে গেছেন, কিন্তু তাঁর রেখে যাওয়া শক্তি আর ভালোবাসাই আবার এক বছর আমাদের বাঁচিয়ে রাখবে

আজকের এই দিনটার পরেই শুরু হবে সেই দীর্ঘ এক বছরের অপেক্ষা অপেক্ষা থাকবে আবার সেই প্রথম ঢাকের আওয়াজের জন্য, আমার  শাড়ি পরে ভোগ বিতরণের জন্য, আর সেই অপরূপ মায়ের এক ঝলক দেখার জন্য

আসছে বছর, আবার হবে! কানে বাজছে

 

©-রীতা বিশ্বাস পান্ডে 






 

 

  

Comments